ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলো, তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেটা নিশ্চিত করাই ছিলো খুনিদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, বাকশাল নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক কথা আছে। এ নিয়ে আমি বহুদিন ধরে ভাবছি। তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। আমি যেটা দেখছি, বাকশাল একটা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অনিবার্য পরিণতি ছিলো। বাকশাল মাত্র দুইশ বত্রিশ দিন কার্যকর ছিলো। ওই সময় বাংলাদেশের সবগুলো সূচক ছিলো ঊর্ধ্বমুখী। বাকশাল কোনো একটা দল ছিলো না। এটিকে অভিন্ন জাতীয় মঞ্চ বলা যেতে পারে। দল বলতে যা বোঝায় কাঠামোগতভাবে বাকশাল তা ছিলো না।
বাংলাদেশ যখন যথার্থ একটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক যথার্থ বিপ্লব হতে শুরু হয়েছিলো (আমি একাত্তরকে বিপ্লব বলি না, তার সঙ্গত কারণ আছে, যা আমি লিখেছি অনেক জায়গায়) বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে, তখনই আঘাতটি আনা হলো, যেন বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। মূল কথা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যা করার ‘নীলনকশা’ চূড়ান্ত করা হয়েছিলো তখন। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তারা কি উন্নততর রাষ্ট্রীয় আদর্শের পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরেছিলো? তা তো নয়। শুধু বঙ্গন্ধুকে নয়, তারা সেদিন বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিলো। বাকশালকে একটা অজুহাত হিসেবে সামনে এনেছিলো খুনি চক্র।
প্রকাশঃ আমাদের নতুন সময়, তারিখ ০৪/০৮/২০১৯
লিঙ্কঃ http://amadernotunshomoy.com/newsite/2019/08/04/%e0%a6%a1-%e0%a6%b8%e0%a7%88%e0%a7%9f%e0%a6%a6-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8-6/#.XUZ2gugzaUk