বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সম্পাদনা/লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন

সারা বিশ্বের বিস্ময় এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নেরও বিস্ময়। টানা তিনবারসহ মোট প্রায় ২০ বছর রাষ্ট্র পরিচালনাকারী বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্রনায়কের নাম শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের টাকায় পৃথিবীর দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী পদ্মার বুকে ৬ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সেতু স্থাপন করে সমগ্র বিশ্বের চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রনায়কের নাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি ২০২৩ সাল হচ্ছে দেশের মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উপহার দেওয়ার বছর। যদিও গতবছর থেকেই পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তা শুরু হয়েছে। সরকারের বিভিন্নমহল থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতুতে রেললাইন নির্মাণ, রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেল নির্মাণ, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাকি অংশ নির্মাণ, ঢাকা-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত করে বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত আরেকটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল নির্মাণ,  দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ এবং বাংলাদেশের প্রথম রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মতো মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ প্রায় শেষ। ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতুসহ কয়েকটি প্রকল্প শেষে তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি কয়েকটি চালু হবে এ বছরই। এসব মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের তারিখও চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এসব মেগা প্রকল্প অধিকাংশই পুরোপুরি এবং ২/১টির আংশিক খুলে দেওয়া হবে। এতে বদলে যাবে বাংলাদেশ। পৃথিবী দেখবে বিস্ময়ের বিস্ময়, অবাক করে দেওয়া এক বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

সূত্র জানিয়েছে, অর্থ সহায়তার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরে বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণ ছিল শেখ হাসিনা সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পদ্মা নদীর উপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। যা ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন ২৬ জুন থেকে সেতুটি সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।BeFunky-collage-15-b840ccd9596d9c3d0814bc8cf4531d5cপদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল

উদ্বোধনের পর থেকে চলতি ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরার দুই টোল প্লাজায় ৭২ লাখ ৯৬ হাজার ৬২২টি যানবাহন সেতু অতিক্রম করে। এতে এখন পর্যন্ত ক্রেডিট ও ইটিসিএসসহ এক হাজার কোটি ৯২ হাজার ১৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার উন্নয়নের সঙ্গে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, জিডিপিতে এই সেতুর অবদান যুক্ত হবে এক থেকে দুই শতাংশ।

সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলেছে গত ৭ সেপ্টেম্বর। এটি সরকারের আরেক মেগা প্রকল্প। পদ্মা সেতু হয়ে রেল চলবে আগামী ১০ অক্টোবর, এটি সেদিন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে। আগামী বছর জুনে যশোর পর্যন্ত রেল চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। শুরুতে একটি ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ঢাকা-পদ্মা সেতু-রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে চীন থেকে ১০০ নতুন কোচও কেনা হয়েছে। নতুন কোচ দিয়েই ট্রেন চালু করা হবে। আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৮২ শতাংশ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি ২০১৬ সালে ৩ মে অনুমোদন করা হয়। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

এগিয়ে চলছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল ভবন।  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৬০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী অক্টোবরে এই টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জানিয়েছে, আগামী অক্টোবরে টার্মিনালটির আংশিক উদ্বোধন হবে। পুরোপুরি চালু হবে আগামী ২০২৪ সালে। এটি চালু হলে যাত্রীদের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে। উড়োজাহাজ চলাচল এবং যাত্রীর সংখ্যাও বাড়বে। সূত্র বলছে, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় টার্মিনালে মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। আগামী অক্টোবরে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে।teবিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

২০১৭ সালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।

ইতোমধ্যেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। বিমানবন্দরের টোল প্লাজায় প্রথম টোল পরিশোধ করে প্রধানমন্ত্রী এক্সপ্রেসওয়েতে ভ্রমণ করেন। এ অংশে যানবাহন চলাচল শুরু করে পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত। সরকারের সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোটা কুতুবখালী পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হবে।

এদিকে ঢাকা-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত করে বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত আরেকটি এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে তুলছে সরকার। এ দুই এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কসহ দেশের সবক’টি জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোরে যানজট অনেকাংশে কমবে। সামগ্রিকভাবে এটি দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার দশমিক ২১৭ শতাংশ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

এদিকে সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)।

এর আগে ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের লাইন ৬-এর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারে উড়াল রেলপথের মধ্যে উত্তরার (দিয়াবাড়ি) অংশ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ৩৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজধানীর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রো রেলপথের নির্মাণকাজ চলমান। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার চালু হয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ চলতি বছরের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা আছে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ।

অপরদিকে রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেলের উদ্বোধন হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। উদ্বোধনের পরদিনই টানেলের ভেতরে যান চলাচল সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টানেলের উদ্বোধন করবেন। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলের নামকরণ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। বর্তমানে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক (ইলেকট্রো মেকানিক্যাল) কাজ চলছে। টানেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। চট্টগ্রামের নগরের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলা প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়ক রয়েছে।

সরকারের অপর প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে অক্টোবরে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯৫ কিলোমিটারের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। বাকি পাঁচ কিলোমিটার রেললাইন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এরপর অক্টোবরের মাঝামাঝি এই রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের জন্য পটিয়া স্টেশনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ছয়টি বগি ও দুই হাজার ২০০ সিরিজের একটি ইঞ্জিন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালাতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে এ রুটে দুই জোড়া ট্রেন চলবে। পর্যায়ক্রমে যাত্রীর চাহিদা বিবেচনা করে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ১০০ কিলোমিটার গতিতে এ রুটে ট্রেন চলাচল করবে। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ (সিআরইসি)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ২৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। বাকি অর্থ ব্যয় করছে বাংলাদেশ সরকার।rrকয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

সরকারের অপর মেগা গ্রকল্প হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের একমাত্র এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর। প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর বলেছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিটের সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপরই প্রথম চুল্লি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। রূপপুর কেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে একক প্রকল্প হিসেবে এটি সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটটি জাতীয় গ্রিডে যাবে ২০২৫ সালে।

অপরদিকে সরকারের বিদ্যুতের অপর মেগা প্রকল্প কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন শুরু করেছে। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে বিশ্বের চোখ ধাঁধানো বাংলাদেশ। যার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিশ্ব নেতাদের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এর কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলা ট্রিবিউনে

আরও পড়ুন