স্বাধীনতাকামী জাতি এক সত্তায় এসে দাঁড়ায়

সম্পাদনা/লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন

সংগ্রামের মাস মার্চ। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুর মাসও মার্চ। এ মাসেই পাকিস্তানি শাসকের দীর্ঘ শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতি এক স্রোতে মিলিত হয়েছিল। একটি দণ্ডে পুরো জাতি এসে দাঁড়িয়েছিল দ্বিধাহীন নিঃসংকোচে দুর্বিনীত স্পর্ধায়।

একাত্তরের ৭ মার্চ দিনটি ছিল রোববার। দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছিল ব্রিটিশকাল থেকেই। আর বাংলায় তখন চলছে অসহযোগ আন্দোলন। অফিস, কলকারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত ছেড়ে মানুষ তখন রাজপথে। মুক্তির আবেগে জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার প্রাণপণ কসরতে মত্ত জাতি। জান্তা শাসকদের শাসন-শোষণ উপড়ে ফেলে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে লড়াকু মনোভাব নিয়ে অগ্রসরমান তখন পুরো জাতি। শত সহস্র বছরের নীরবতা ভেঙে এক নতুন স্বপ্নের মোহনায় দাঁড়িয়ে বাঙালির স্বতন্ত্র সত্তার ভেতর নিজেকে আবিষ্কার করতে পেরেছিল একাত্তরের মার্চেই। বাঙালি সেদিন তার আরাধ্য নেতাকে পেয়ে সাহসের বরাভয় নিয়ে এগিয়ে এসেছিল। নেতার অঙ্গুলি নির্দেশে পূর্ব পাকিস্তান নামক প্রদেশটি মুছে গিয়ে বাংলাদেশ নামক প্রসবোন্মুখ দেশে পরিণত হয়েছে। নেতার নির্দেশে চলছে দেশ। সাড়ে ৭ কোটি প্রাণ তখন একাত্ম। নিজেদের বাঙালি ভাবতে, বুঝতে শিখে ফেলেছে ততদিনে। সহস্র বছরের পরিক্রমায় জাতিটি তার দীর্ঘদিনের শাসন-শোষণ আর উপনিবেশকতার দরজা ভেঙে বেরিয়ে আসার জন্য একাত্তরে সমবেত। এমন জাগরণ অতীতে দেখেনি কেউ কখনো। এমন বিদ্রোহ আর আসেনি এই উপমহাদেশ তথা বিশ্বজুড়ে। বিদ্রোহ বিপ্লবের ললাটটিকা এঁকে যাওয়ার সেই একসময়, বাঙালির স্বশাসিত হওয়ার এক পরমলগ্ন উৎসারিত হতে থাকে। মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগটিও ছিল না সে বাঙালির। দীর্ঘকাল ধরে বিদেশি শাসন-শোষণে নিষ্পেষিত, জর্জরিত হতে হতে পরাজিত মানসিকতার বেড়াজাল ছিন্ন করার উপায় ছিল না, সেই বাঙালি এক জাতিতে পরিণত হয়ে একটি ভূখণ্ডকে আপন সত্তায় বেঁধে নিয়েছিল শিক্ষা-দীক্ষা, জীবন-জীবিকায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনে আলোড়ন তুলে সমাজ বাস্তবতাকে সামনে এনে উপস্থিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির আরেকটি নাম হয়ে শেখ মুজিব তখন বাংলায় দেদীপ্যমান মানবে পরিণত হয়ে উঠেছিলেন। নির্যাতিত দেশের মাঝে জনগণের নৌকা তিনি তখন বেয়ে চলেছেন। বাঙালি জাতির স্বজাত্যবোধের বিকাশ ঘটাতে আবির্ভূত হলেন তিনি। স্বদেশের সব জাতীয় বীরের সাহস ও শৌর্য-বীর্যকে আত্মস্থ করে হয়ে ওঠেন ততদিনে সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ প্রতীকরূপে। শতবর্ষেরও আগে রবীন্দ্রনাথ তার ভারতবর্ষীয় সমাজ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন—স্বদেশকে একটি বিশেষ ব্যক্তির মধ্যে আমরা উপলব্ধি করিতে চাই। এমন একটি লোক চাই, যিনি আমাদের সমস্ত সমাজের প্রতিমাস্বরূপ হইবেন, তাকে অবলম্বন করিয়াই আমরা আমাদের বৃহৎ স্বদেশীয় সমাজকে ভক্তি করিব, সেবা করিব। তাহার সঙ্গে যোগ রাখিলেই সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের যোগ রক্ষিত হইবে। বঙ্গবন্ধু তার স্বজাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে ধাপে ধাপে বের করে নিয়ে এসে অহিংস এবং সহিংস উভয় পথ ধরে এগিয়ে গিয়েছিলেন। চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য প্রয়োজন সহিংস হয়ে ওঠার মন্ত্রটা তার মধ্যে ঘুরপাক খেত—এটা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। একদিকে তিনি গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন এবং অপরদিকে নেতাজী সুভাষ বসুর রণনীতিকে অবলম্বন করে প্রশিক্ষিত গোষ্ঠী গড়ে তোলার পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। ছাত্ররা তখন সমাজকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখত, তাই তারা সর্বাগ্রে এগিয়ে এসেছিল, পাকিস্তানি সামরিক জান্তাগোষ্ঠীর শাসনে নিপীড়িত, নিষ্পেষিত ও দমিত ছাত্রসমাজ সংগঠিত হয়ে উঠেছিল দেশজুড়ে। সংখ্যায় বেশি অশিক্ষিত বাঙালি সমাজে তখন শিক্ষিত ও শোষিত ছাত্ররা জনতার কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিল। গণদাবি ছাত্রসমাজের দাবিতেও পরিণত হতে হতে একসময় পুরো দেশবাসীর দাবিতে পরিণত হলো। যে স্বাধিকারের জন্য ছাত্র-শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছিল, সেই স্বাধিকারকে তখন স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করেছিল বাঙালি জাতি তার আরাধ্য নেতার নেতৃত্বে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, সেইসব জাতি ভাগ্যবান, যারা সব সময় স্বদেশকে দেশের ইতিহাসের মাঝেই খুঁজে পায়। বাঙালি সেই স্বদেশের সন্ধানে যাত্রা শুরু করেছিল মার্চেই। ছাত্রসমাজ সেই পথ ধরেই এগিয়ে গিয়েছিল, তাদের ডাকে সেসময় দেশবাসী সাড়া দিয়েছিল। অসংখ্য জনগণকে পাকিস্তানিরা শিক্ষাবঞ্চিত রেখেছিল নিপীড়ন ও শোষণের ক্ষেত্র বহাল রাখার লক্ষ্যে। সমাজজুড়ে কুৎসা ও রটনা ছড়ানো হতো এমনভাবে যে, জনগণ তাতে কখনো কখনো বিভ্রান্তির চোরাবালিতে হাবুডুবু খেতে বাধ্য হতো। ধর্মকে বর্ম বানিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কাজে ধর্ম ব্যবসায়ীরা পৃষ্ঠপোষকতা পেত জান্তা শাসকদের কাছ থেকে। তারাই হয়ে ওঠে শাসকদের বরকন্দাজ। বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা লাভের স্পৃহা যে ধর্মবিরোধী, তা প্রমাণ করার জন্য নানা কিসিমের জজবা তোলা হতো।

পাকিস্তানি জান্তারা বাংলায় তাদের বশংবদ গোষ্ঠী তৈরিতে পারদর্শী ছিল। নানা লোভ-টোপ, উপঢৌকন, পদ-পদবি, খেতাব ইত্যাদি নানাভাবে তাদের করায়ত্ত করে বাঙালির বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আসছিল। জান্তাদের শক্তিমত্তার পেছনে ছিল শক্তিশালী মারণাস্ত্র। প্রশিক্ষিত এই বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধটা শেষ পর্যন্ত বাঙালিকে লড়তেই হয়েছে। বীরের জাতি বাঙালিকে ২৩ বছর পরও পর্যুদস্ত করে রাখা যাবে না এই উদ্ভাস মার্চের সেই সময়ে প্রতিভাত হয়েছিল। এই যে নিরস্ত্র থেকে একটি জাতির সশস্ত্র হয়ে ওঠা, তা তো আর হঠাৎ হয়নি। এর একটা পূর্বপ্রস্তুতিও ছিল। সেই সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করে করে ঘটনার ঘনঘটা পাড়ি দিয়ে শেষ পর্যন্ত একটি স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে বাঙালি এবং পরস্পর কাঁধে কাঁধ রেখে শত্রু হননের শপথে বলীয়ান। এই যে হেরে যাওয়া, পরাস্ত হওয়া গণহত্যাকারী হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের, যারা ৯ মাস ধরে বাংলায় বীভৎস ও নারকীয় অপকর্মে লিপ্ত ছিল। সাড়ে ৭ কোটি মানুষের অভিশাপে জর্জরিত হানাদারদের সেইসব অপকীর্তি ইতিহাসের পাতায় পাতায় রয়েছে। যে যেভাবেই মূল্যায়ন করুক না কেন, বর্বরতার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছিল সেদিন ইসলামের ধ্বজাধারী প্রশিক্ষিত বাহিনীটি।

৭ মার্চ এসেছিল বাঙালির জীবনে এক নয়া উন্মোচনের বার্তা নিয়ে, যার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছিল সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর। লাঞ্ছিত নিপীড়িত বাঙালি জাতি চেয়েছিল তার ভোটে নির্বাচিতরা সরকার গঠন করবে, শাসনতন্ত্র তৈরির জন্য সংসদ অধিবেশনে মিলিত হবে। জন্মলগ্নের এই আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করার কাজটি ১ মার্চ করা হয়। বাঙালিকে সেদিন অপমান করা হয়েছিল। জাতীয় সংসদের পূর্বঘোষিত ৩ মার্চের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করায় বাঙালি বুঝে নিয়েছিল; পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জনসাধারণের প্রদত্ত সুস্পষ্ট নির্বাচনী রায়কে দলিত মথিত করা হচ্ছে। ইয়াহিয়া খানের এক ঘোষণায় সারা বাংলা আগুনের ফুলকির মতো ঝলসে ওঠে। দাবানলের মতো আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়া বাঙালি ঘর ছেড়ে রাজপথে নেমে পড়ে। মিছিলে মিছিলে সয়লাব দেশ। মুক্তির পথপরিক্রমায় বাঙালি বুঝে নিয়েছে আরও যে, তাদের নির্বাচনী বিজয়ের রায় ও স্বাধিকারের চেতনা নস্যাৎ করে দিতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তানিরা। যুগ-যুগান্তরের শৃঙ্খল ভেঙে জেগে ওঠা বাঙালি এই অন্যায়-অপমান মাথা পেতে নেয়নি।

বঙ্গবন্ধুর নির্ভরতা ছিল জনগণের ওপর। বলেছেনও একাত্তরের ২৯ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে, গত ২৩ বছর বাংলাদেশকে শাসন ও শোষণ করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতি অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে সনাতন ষড়যন্ত্র আজও চলছে। তবে ভরসা হচ্ছে, দেশবাসী আজ সম্পূর্ণ সচেতন ও জাগ্রত এবং ষড়যন্ত্র জালকে ছিন্নভিন্ন করে কায়েমি স্বার্থবাদকে খতম করার ক্ষমতা দেশবাসী রাখে। পূর্ব বাংলায় সংগীতশিল্পীসমাজ বঙ্গবন্ধুকে যে সংবর্ধনা প্রদান করে ২৪ জানুয়ারি, তাতে তিনি বাঙালির সাহিত্য সংস্কৃতির রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন। বলেছিলেন, আপনারা ভালোবাসা এবং শান্তির অনেক গান গেয়েছেন। আজ বস্তির নিঃস্ব সর্বহারা মানুষের জন্য গান রচনার দিন এসেছে। রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের মতো বিপ্লবী গান গাইতে হবে। মানুষের মনে প্রেরণা জোগাতে হবে। যদি এতে বাধা আসে, সেই বাধা মুক্তির জন্য ৭ কোটি বাঙালি এগিয়ে আসবে। …যদিও জনগণ প্রাথমিকভাবে বিজয়ী হয়েছে; তবুও বিপদের আশঙ্কা এখনো দূরীভূত হয়নি। পথ এখনো কণ্টকাকীর্ণ এবং অনিশ্চিত। …মনে রাখবেন, বিপদ আমাদের কাটে নাই। লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয় নাই। চরম সংগ্রামের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। সেদিনের জন্য প্রস্তুত হন। ছাত্রলীগের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে একাত্তরের ৪ জানুয়ারি দীর্ঘ ভাষণে তিনি উচ্চারণ করেছিলেন দিকনির্দেশনাসমেত গুরুত্বপূর্ণ অনেক কথা। বলেছিলেন, দেশে যদি বিপ্লবের প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে সে বিপ্লবের ডাক আমিই দেব। এমনটাও বলেছিলেন, জনগণের স্বাধীনতার ফলভোগকে নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে। ৭ মার্চের আগের ভাষণ বিবৃতি পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট হয়—ওই সব ভাষণের উপসংহার তিনি টেনেছিলেন ৭ মার্চের ভাষণে।

আজকের প্রজন্ম উপলব্ধি করতে পারবে কি না, জানি না ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানের বিকেল কেমন ছিল। আদমজী, টঙ্গী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থেকে যেমন; তেমনি অসংখ্য নারী এসেছেন বাঁশের লাঠি নিয়ে। বহু মানুষ এসেছেন তীর-ধনুক নিয়ে। যেন যুদ্ধ আসন্ন। জনসভার ওপর দিয়ে পাকিস্তানি বিমান প্রদক্ষিণ দেখে ওটাতে শত্রু সেনা আছে ভেবে কেউ কেউ লাঠি ছুড়ে মারে। মনোয়ারা বিবি নামে একজন নারী গাইছিলেন মরি হায়রে হায়, দুঃখের সীমা নাই, সোনার বাংলা শ্মশান হইল পরাণ ফাইডা যায়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের তিনটি পাঠ বর্তমানে মেলে। রেকর্ডের ভাষণটি সম্পাদিত ও সংক্ষিপ্ত। সরকারের উচিত ভাষণের পুরো পাঠ প্রকাশ করা। সেদিনকার ভাষণ সম্পর্কে ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার ইতিহাস কোনোদিন মিথ্যা করতে নাই। …৭ মার্চ স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা বলা বাকি ছিল! প্রকৃতপক্ষে ৭ মার্চ স্বাধীনতা সংগ্রাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেদিন পরিষ্কার বলা হয়েছিল, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

৭ মার্চের ভাষণের স্থানটি মুছে ফেলার জন্য পঁচাত্তর-পরবর্তী শাসকরা অপতৎপরতার আশ্রয় নিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালের ৭ মার্চ যে স্থানটিতে বিশাল জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছিলেন সংগ্রামের, সেই ঘোষণাস্থলে দেশের কয়েকজন তরুণ কবি পুষ্পমাল্য অর্পণ ও কাব্য পাঠ করেন হৃদয়ের সব অর্গল খুলে দিয়ে। সেই কবি কামাল চৌধুরী, আসাদ মান্নান, মোহাম্মদ সাদিক সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে তাদের সেই সাহস নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছিলাম। সেই স্থানটি আজও সংরক্ষণ করা হয়নি। জাতি হিসেবে এটা দুর্ভাগ্যের যে, আমরা ঐতিহ্যগুলোর মূল্য দিতে জানি না।

লেখক : জাফর ওয়াজেদ
মহাপরিচালক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক

 

আরও পড়ুন