সেদিন নদীর পাড়ে দাঁড়াতেই
বিশাল আকাশের সুতো দেখতে পাই
গাঙচিলগুলো উড়ছিল ঠিক নিজের মতো করে
হঠাৎ বায়বীয় চিৎকারের ঢঙে
পাখিদের বুলিগুলো বা ডানা ঝাপটানো দৃশ্য
পরিবর্তন হতে হতে নদীর স্রোতই ভুলে গেছে!
আশ্চর্য এক শিহরনে পাখাগুলো কাঁপছিল থরথরে
পাখিদের ইচ্ছে ডানায় সুতো জড়ানো হয়েছে
পাখিরা পারছে না উড়তে! পারছে না নিজস্বতায় চলতে!
এক নতুন সমীরণের ছোঁয়ায় তাদের পালক খসতে বসেছে
তাদের বুলি পরিবর্তন হতে হতে
একেকটা চেতনার ফেরিওয়ালা হয়েই
সম্মুখের পথ পাড়ি দেয়ার ব্যর্থচেষ্টা করছে!
গাঙচিলগুলো গাঙ বা গাঙের পাড় ভোলে না কখনো
তবে বেতাল সঙ্গীদের সাথে হারিয়ে যায় বেপথে
গতিহীন গন্তব্যে তারা হয়ে ওঠে একেকটা যাযাবর।
স্রোত হারিয়ে যাবে মোহনার চাপে
পাখিগুলো চেতনায় দিকভ্রান্ত হবে
হয়ত নদীও ভরাট হবে আবর্জনার স্ত‚পে আর ঘ্রাণে
নদী থেকে যাবে আপন নামের ঢোলে
জন্ম থেকে প্রজন্মের হাত ধরে ইতিহাস হয়ে।
সময়ের আলো, ২০ মার্চ, ২০২০ লিঙ্ক