Bangabandhu Online ArchiveBangabandhu Online ArchiveBangabandhu Online ArchiveBangabandhu Online Archive
  • মূল পাতা
  • বঙ্গবন্ধু
    • এক নজরে
    • জন্ম ও বেড়ে ওঠা
    • মুক্তি সংগ্রামে
      • ভাষা আন্দোলন
      • ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬
      • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ১৯৬৮
      • ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
      • ১৯৭০ এর গণনির্বাচন
      • ১৯৭১
        • জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি
        • ২রা মার্চ
        • ৭ মার্চের ভাষণ
        • উত্তাল মার্চ
        • ২৫শে মার্চ
        • স্বাধীনতার ঘোষণা
        • মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু
        • পাকিস্তান কারাগারে বঙ্গবন্ধু
    • হত্যাকাণ্ড
    • শাসনামল
      • অর্থনীতি
      • কৃষিক্ষেত্র
      • স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
      • নবরাষ্ট্র পুনর্গঠন
      • অর্থনীতি
      • পররাষ্ট্র নীতি
      • সামরিক ক্ষেত্র
      • বাকশাল
      • বিবিধ
    • পরিবার
      • বঙ্গ মাতা
      • শেখ হাসিনা
      • শেখ কামাল
      • শেখ জামাল
      • শেখ রেহানা
      • শেখ রাসেল
      • এম এ ওয়াজেদ মিয়া
      • সজীব ওয়াজেদ জয়
      • সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
      • রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিক
      • টিউলিপ সিদ্দিক
    • অর্জন ও স্বীকৃতি
    • ভাষণ
    • রচনা সমূহ
    • বঙ্গবন্ধু বিরোধী ষড়যন্ত্র
    • বিষয়ভিত্তিক
      • শিশুবন্ধু বঙ্গবন্ধু
      • বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন
  • প্রকাশনা
    • গ্রন্থাবলি
    • রচনা ও নিবন্ধ
    • সংবাদ
    • উপসম্পাদকীয়
    • কবিতা ও গান
  • অডিও ও ভিডিও
    • বক্তব্য/ভাষণ/সাক্ষাৎকার
    • ডকুমেন্টারি ও সংবাদ
  • স্থির চিত্র
  • বিবিধ
  • বিশেষ
  • সামাজিক গণমাধ্যম
    • ফেসবুক
    • ইউটিউব
    • টুঁইটার

একুশ আগস্টের মূল টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা

    Home বঙ্গবন্ধু পরিবার শেখ হাসিনা একুশ আগস্টের মূল টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা
    NextPrevious

    একুশ আগস্টের মূল টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা

    By রুমুজ | শেখ হাসিনা | 0 comment | 1 November, 2020 | 0

    আগস্ট বাঙালির দুঃখের মাস। ’৭৫-এর এই মাসের ১৫ তারিখে আমরা বাংলাদেশের আরেক নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। কার্যত সেদিন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকেই খুন করা হয়েছিল। উদারনৈতিক ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সেদিন আক্রান্ত হয়েছিল। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন সেদিন খুন হয়েছিল। বহু কষ্টে দিনরাত পরিশ্রম করে শ্মশান বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সব অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সুদূরপ্রসারী গণমুখী সংবিধান, প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, শিক্ষা কমিশনসহ নানামুখী স্বপ্নচারী উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের অভিযাত্রায় দাঁড় করেছিলেন তিনি। জনগণের অক্লান্ত পরিশ্রম, নেতৃত্বের বলিষ্ঠতায় স্বদেশ হাঁটছিল সোনার বাংলা অভিমুখে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৩ ডলার। মাত্র তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৭৩ ডলারে। কৃষি ও শিল্প যুগপৎ উন্নতি করছিল। শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিনিয়োগ হচ্ছিল। বৈরী প্রকৃতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক অপতৎপরতা, হঠাৎ বেড়ে যাওয়া তেলের দামের কারণে বাড়ন্ত মূল্যস্ফীতি ও বিপুল খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলা করেই তিনি এগোচ্ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা-বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের ফলে বিশ্বাসঘাতকদের আঘাতে এই আগস্টের কালরাতে আমরা জাতির পিতাকে হারাই। এর কিছু দিন পর তাঁর সহনেতাদের জেলে খুন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে ধ্বংস করার অংশ হিসেবেই চলে এ আক্রমণ। স্বদেশ চলতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঠিক উল্টো দিকে। তবে মানুষ বসে ছিল না। বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার পর থেকেই জেল-জুলুম উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি প্রতিবাদ গড়ে তোলে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সে প্রতিবাদের ধারাকে আরও শক্তিশালী করে। জাতির জনকের যোগ্য উত্তরসূরি বঙ্গবন্ধুকন্যা শুধু দল নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিকে সমাবেশ করে সোনার বাংলার স্বপ্ন ফের উজ্জীবিত করতে থাকেন। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত শক্তির ওপর নির্ভর করে তিনি এক আশাজাগানিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করেন। এ পথ মসৃণ ছিল না। কবিরা অন্তর্যামী। তাই নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন যে, তাঁর ‘পথে পথে পাথর’ বিছানো ছিল। তবু তিনিই ছিলেন আমাদের স্বপ্নের একমাত্র কান্ডারি। কবির নিজের ভাষায়-

    ‘আপনার প্রত্যাবর্তন আজও শেষ হয়নি।

    বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়িতে

    আপনি পা রেখেছেন মাত্র

    আপনার পথে পথে পাথর ছড়ানো

    পাড়ি দিতে হবে দুর্গম গিরি, কান্তার ও মরুপথ।’

    আমাদের আরেক কবি সৈয়দ শামসুল হক একবুক প্রত্যাশা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন-

    ‘সেই বৃষ্টি সেই অশ্রু আপনার সেই ফিরে আসা

    নিমজ্জিত নৌকোটিকে রক্ত থেকে টেনে তুলবেন,

    মানুষের দেশে ফের মানুষের সংসার দেবেন

    ফিরেছেন বুকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা।’

    (‘শেখ হাসিনার জন্মদিনে’, ২০০৯)

    আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শামসুর রাহমান তাঁর ‘ইলেক্ট্রার গান’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশে তার এবং বঙ্গবন্ধুর দুহিতার কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন এভাবে-

    ‘আড়ালে বিলাপ করি একা একা, ক্ষতার্ত পিতা

    তোমার জন্য প্রকাশ্যে শোক করাটাও অপরাধ।

    এমন কি, হায়, আমার সকল স্বপ্নেও তুমি

    নিষিদ্ধ আজ; তোমার দুহিতা একি গুরুভার বয়!

    নিহত জনক, এ্যাগামেমনন্, কবরে শায়িত আজ।’

    মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা ফিরে এসেছিলেন ‘বৃষ্টিভেজা বৈশাখে’র এক দিনে। এর পরের ইতিহাস আমাদের সবারই জানা। কবি-সাহিত্যিক-শ্রমিক-কৃষক-তরুণসহ বঙ্গবন্ধুপ্রেমী সব মানুষের স্বপ্ন ও ভরসার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর মৃত্যুর নানা ঝুঁকি মোকাবিলা করেই বঙ্গবন্ধুকন্যা সংগ্রাম করে দেশ পরিচালনার হাল ধরেন ১৯৯৬ সালে। বাঙালির মনোজগতে ফিরিয়ে আনেন বঙ্গবন্ধুকে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বন্যা, ঝড়, রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতাসহ নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে তিনি বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের এক নয়া অভিযাত্রার সূচনা করেন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির রেখে যাওয়া জঞ্জাল দূর করে তিনি কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নে বহুমাত্রিক কৌশল গ্রহণ করে দুঃখী মানুষের দুঃখ মোচনে অনেকটা পথ পাড়ি দেন। সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় যে, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য ইনডেমনিটি আইন অবলোপন করে ভরসার এক নয়া বাতাস বইয়ে দেন সমাজে। বিচার সম্পন্ন করলেও অপরাধীদের শাস্তি কার্যকরের আগেই আরেক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে ২০০১ সালে ফের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয় না। বাংলাদেশের শত্রুরা ঠিক বুঝে ফেলেছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা ঠিকই সময় ও সুযোগ পেলে ফের মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে দেশ পরিচালনার মূল মঞ্চে নিয়ে আসবেন। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের শূলে চড়াবেন। যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার শুরু করবেন। তাই তিনি যখন মানুষের প্রাণের এসব দাবি সামনে আনতে শুরু করেছিলেন ঠিক তখনই মরণ ছোবল মারে শত্রুরা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ট্রাকের ওপর উঠে তিনি সন্ত্রাসবিরোধী এক প্রতিবাদ সমাবেশে সবে বক্তৃতা শেষ করেছেন। সময় তখন বিকাল ৫টা ২২ মিনিট। হঠাৎ আশপাশের ছাদ থেকে মুহুর্মুহু শব্দ করে গ্রেনেড হামলা। ঘটনাস্থলেই ১৮ আওয়ামী লীগ কর্মী ও নেতার প্রাণ যায়। পরে আরও আটজনের মৃত্যু হয়। পাঁচ শর মতো মানুষ আহত হয়। মহিলা আওয়ামী লীগ-প্রধান আইভি রহমান এবং বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার দেহরক্ষী মাহবুবুর রহমানের প্রাণ যায়। সেদিন ঢাকার আকাশ-বাতাস আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছিল। প্রায় সব হাসপাতালেই শোনা যাচ্ছিল আহত ও নিহত মানুষের স্বজনের আহাজারি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রাণে বাঁচলেও তাঁর কানে আঘাত লাগে। নেতারা মানবঢাল তৈরি করে তাঁকে বাঁচান। পুরো আক্রমণের প্রধান টার্গেটই ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

    কারণ শত্রুরা জানত তিনি যে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যোগসূত্র। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের সব ঊর্ধ্বতন নেতাকে তারা শেষ করে দিতে চেয়েছিল। উদ্দেশ্য আর কোনো দিন যেন উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ কেউ না নিতে পারে। সেদিনের এ হামলার সঙ্গে যে সরকারি দলের নেতৃবৃন্দের হাত ছিল পরে অপরাধী মুফতি হান্নানই তা প্রকাশ করে দেয়। অথচ সে সময় ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে সরকার ও পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা এক লজ্জাজনক উপাখ্যান তৈরির কি ব্যর্থ চেষ্টাই না করেছিলেন। বিচার বিভাগীয় তদন্তের নামে বিচারপতি জয়নাল আবেদিন বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেন। ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের। তারা কঠোর পরিশ্রম করে পুরো ‘জজ মিয়া’ নাটকটির ফানুস ফুটো করে দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে নতুন করে পুলিশি অনুসন্ধানে অপরাধীদের চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। আমাদের বিচার বিভাগও অনেক সাক্ষ্য-প্রমাণ ঘেঁটে তাদের সঠিক শাস্তিই দিয়েছে। সরকারি দলের নেতা, পুলিশসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ৩৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৯ জনকে মৃত্যুদ- দেওয়া  হয়েছে। ১৯ জনকে যাবজ্জীবন। অনেক কর্মকর্তাকেও জেল দেওয়া হয়েছে। এখনো ১৮ আসামি পলাতক। তবে এ রায়ের মাধ্যমে যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে তা হলো, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে যুদ্ধে ব্যবহৃত হয় যে আর্জেস গ্রেনেড সেসব ছোড়া হয়েছে রাষ্ট্রের সহায়তায়। আক্রমণের মূল টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা।

    আমাদের ভাগ্য ভালো যে, বিধাতার অশেষ দয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা ওই মৃত্যুপুরী থেকে ফিরে আসতে পেরেছিলেন। আর ফিরে আসতে পেরেছিলেন বলেই পরবর্তী পর্যায়ে সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, জেল-জুলম সহ্য করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালের শুরুতেই দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নিতে পেরেছিলেন। আর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে যে উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন তার সুফল দেশবাসী এর মধ্যে পেতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী অনেকের বিচারের রায় কার্যকর করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে অনেকের বিচারের রায় কার্যকর করতে পেরেছেন। দেশে মহামারী ও বন্যা সত্ত্বেও উন্নয়নের অনেক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার ‘মিরাকল’ হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে। এমন বিপর্যস্ত সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বাড়ন্ত দেশটির নাম বাংলাদেশ। জীবনের আয়ু, জন্মহার, শিশুমৃত্যু রোধ, সাক্ষরতার হার, সঞ্চয়ের হার, প্রবৃদ্ধির হার- সব সূচকেই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে উজ্জ্বল দেশটির নাম বাংলাদেশ।

    সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়া ১৪টি উন্নয়ন সূচকের ভিত্তিতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে জনগণের জীবনমানের তুলনামূলক চিত্র নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে, ১৪টি সূচকের মধ্যে ৭টিতেই বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলেছে, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে ১৩টিতে। বিশেষ করে শিশুমৃত্যু রোধ, শিশুদের বেড়ে ওঠার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং গড় আয়ুর মতো মানব উন্নয়ন সূচকগুলোয় প্রতিবেশী অন্য দুটো দেশের তুলনায় এগিয়ে থাকাটা আমাদের মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ননীতির সফল বাস্তবায়নের প্রমাণ। বাংলাদেশে প্রতি হাজার সদ্যোজাত শিশুর মধ্যে মৃত্যুহার মাত্র ২২, যেখানে ভারতের ক্ষেত্রে এ অনুপাত ৩০ আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ৫৭। এ ছাড়া সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের অনেকটিতে বাংলাদেশ তিনটি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।

    গড় সঞ্চয় ডিডিপির বিচারে বাংলাদেশ পাশের ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। যে পাকিস্তানের থাবা থেকে বহু সংগ্রামের পর বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, স্বাধীনতার ৩৫ বছরের মধ্যেই সেই পাকিস্তানকে প্রবৃদ্ধির হারের বিচারে অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছিল এবং পরের এক দশকে টেকসই সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির অংশগ্রহণমূলক বাস্তবায়ন করা গেছে বলেই বাংলাদেশের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি পাকিস্তানের চেয়ে ২.৫ শতাংশ বেশি হয়েছে এবং ২০১৯ সালে এসে বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জিডিপির অধিকারী দেশ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, দুর্নীতি এখনো প্রকট, শাসনব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে।

    তা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ মানব উন্নয়নের শক্ত ভিত্তি এরই মধ্যে স্থাপন করে ফেলেছে। এর পুরো কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে দিতেই হবে। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জীবিত অবস্থায় স্বগৃহে ফিরে আসতে পেরেছিলেন বলেই তো তিনি এ ‘মিরাকল বাংলাদেশ’-এর নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। পথের পাথর পেরিয়েই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।

    ড. আতিউর রহমান
    ২১ আগস্ট, ২০২০ লিংক
    No tags.

    রুমুজ

    More posts by রুমুজ

    Leave a Comment

    Cancel reply

    You must be logged in to post a comment.

    NextPrevious

    বিভাগ

    • অডিও ও ভিডিও
      • ডকুমেন্টারি ও সংবাদ
      • বক্তব্য/ভাষণ/সাক্ষাৎকার
    • বই
    • বঙ্গবন্ধু
      • কারাজীবন
      • জন্ম ও বেড়ে ওঠা
      • পরিবার
        • এম এ ওয়াজেদ মিয়া
        • টিউলিপ সিদ্দিক
        • বঙ্গ মাতা
        • শেখ কামাল
        • শেখ জামাল
        • শেখ রাসেল
        • শেখ রেহানা
        • শেখ হাসিনা
        • সজীব ওয়াজেদ জয়
        • সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
      • বঙ্গবন্ধু বিরোধী ষড়যন্ত্র
      • বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড
      • বঙ্গবন্ধুর অর্জন ও স্বীকৃতি
      • বঙ্গবন্ধুর শাসনামল
        • অর্থনীতি
        • কৃষিক্ষেত্র
        • নবরাষ্ট্র পুনর্গঠন সংগ্রাম
        • পররাষ্ট্র নীতি
        • বাকশাল
        • বিবিধ
        • সামরিক ক্ষেত্র
        • স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
      • বাঙ্গালির মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু
        • ১৯৭১
          • ৭ মার্চের ভাষণ
          • উত্তাল মার্চ
          • পাকিস্তান কারাগারে বঙ্গবন্ধু
          • মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু
          • স্বাধীনতার ঘোষণা
        • ৬ দফা আন্দোলন
        • ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
        • ৭০ এর গণনির্বাচন
        • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা
        • ভাষা আন্দোলন
      • বিষয়ভিত্তিক
        • বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন
        • শিশুবন্ধু বঙ্গবন্ধু
      • ভাষণ
    • বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে প্রকাশনা
      • উপসম্পাদকীয়
      • কবিতা ও গান
      • রচনা ও নিবন্ধ
      • সংবাদ
    • বহুমাতৃকতায় বঙ্গবন্ধু
    • বিবিধ
    • বিশেষ
      • বঙ্গবন্ধুর দর্শন

    সাম্প্রতিক

    • 20 February, 2021
      0

      Days before his death, Pranab Mukherjee penned an article recalling fond memories of Sheikh Mujib

    • 20 February, 2021
      0

      The unfinished journey of Sheikh Mujib

    • 20 February, 2021
      0

      Bangabandhu the statesman

    • 20 February, 2021
      0

      BOOK REVIEW: Bangabandhu Sheikh Mujib: A leader etched on people’s heart

    © এই পোর্টালে প্রকাশিত কন্টেন্ট সমূহের স্বত্ব সংশ্লিষ্ট লেখক বা প্রকাশক কর্তৃক সংরক্ষিত। 📧 BangaBandhuOnline@gmail.com
    • মূল পাতা
    • বঙ্গবন্ধু
      • এক নজরে
      • জন্ম ও বেড়ে ওঠা
      • মুক্তি সংগ্রামে
        • ভাষা আন্দোলন
        • ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬
        • আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ১৯৬৮
        • ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
        • ১৯৭০ এর গণনির্বাচন
        • ১৯৭১
          • জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি
          • ২রা মার্চ
          • ৭ মার্চের ভাষণ
          • উত্তাল মার্চ
          • ২৫শে মার্চ
          • স্বাধীনতার ঘোষণা
          • মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু
          • পাকিস্তান কারাগারে বঙ্গবন্ধু
      • হত্যাকাণ্ড
      • শাসনামল
        • অর্থনীতি
        • কৃষিক্ষেত্র
        • স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
        • নবরাষ্ট্র পুনর্গঠন
        • অর্থনীতি
        • পররাষ্ট্র নীতি
        • সামরিক ক্ষেত্র
        • বাকশাল
        • বিবিধ
      • পরিবার
        • বঙ্গ মাতা
        • শেখ হাসিনা
        • শেখ কামাল
        • শেখ জামাল
        • শেখ রেহানা
        • শেখ রাসেল
        • এম এ ওয়াজেদ মিয়া
        • সজীব ওয়াজেদ জয়
        • সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
        • রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিক
        • টিউলিপ সিদ্দিক
      • অর্জন ও স্বীকৃতি
      • ভাষণ
      • রচনা সমূহ
      • বঙ্গবন্ধু বিরোধী ষড়যন্ত্র
      • বিষয়ভিত্তিক
        • শিশুবন্ধু বঙ্গবন্ধু
        • বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শন
    • প্রকাশনা
      • গ্রন্থাবলি
      • রচনা ও নিবন্ধ
      • সংবাদ
      • উপসম্পাদকীয়
      • কবিতা ও গান
    • অডিও ও ভিডিও
      • বক্তব্য/ভাষণ/সাক্ষাৎকার
      • ডকুমেন্টারি ও সংবাদ
    • স্থির চিত্র
    • বিবিধ
    • বিশেষ
    • সামাজিক গণমাধ্যম
      • ফেসবুক
      • ইউটিউব
      • টুঁইটার
    Bangabandhu Online Archive