বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় কৃষি সফলতা

সম্পাদনা/লেখক: Zakir Hossain

আমার জন্ম ১৯৭৫ সালের অনেক পরে। পরিবারের কাছ থেকে, বই পুস্তক পড়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জেনেছি এবং জানার চেষ্টা করছি। আসলে জন্মের পর থেকে আমরা তো বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে এত জানতে পারিনি। পরিবারের কাছ থেকে যতটুকু শুনেছি, ইতিহাস পাঠে যতটুকু জেনেছি বা তার লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী আর কারাগারের রোজনামচা পড়ে যতটুকু বুঝেছি- তা আমাদের যাপিত জীবনে যদি অনুসরণ করতে পারি তা হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা ও স্মরণ করা সর্বোৎকৃষ্ট।

আমি যখন ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়লাম, তখন দেখলাম যে একটা মানুষ ১৩ থেকে ১৪ বছর জেলে কাটিয়ে দিয়েছেন এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য। এ দেশের শোষিত, নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি যৌবনের বেশিরভাগ সময়ই জেলে কাটিয়েছেন। জেলে থাকার কারণে পুত্র তার পিতাকে চিনতে পারে না? ‘হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি।’ এ শব্দগুলো যখন পড়ছি তখন চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি। আজ আমি বাবা হয়েছি। সন্তান যখন বাবা বলে ডাকে তার উপলব্ধি কি আমি তা বুঝতে পারি। সত্যিই কি ট্র্যাজেডি? আসলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোটা জীবনই সংগ্রামের। তার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটিতে কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা, যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেক কথাই রয়েছে।

১৫ আগস্ট। ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সদস্য। আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের, যারা সেদিন শহীদ হয়েছিলেন, আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। একজন কৃষিবিদ হিসেবে আজকের এ দিনে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে কৃষি খাতে যে অবদান রেখে গেছেন, তার তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে জানতে পারি, নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, সত্তরের ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ও বাহাত্তরের দীর্ঘ অনাবৃষ্টি- সদ্য স্বাধীন দেশের খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্রকে করেছিল বিপর্যস্ত। যুদ্ধের কারণে বহু কৃষক ঘরবাড়ি ত্যাগ করার কারণে মাঠে ফসল ফলাতে পারেনি। মানুষের মুখে রোজ দু’বেলা আহার জোগানো ছিল সে সময়ের এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত এ জনপদটিকে কৃষি অর্থনীতিতে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ডাক দিলেন সবুজ বিপ্লবের। নানামুখী তৎপরতায় সে যাত্রায় সফল হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন ভ‚খণ্ডের কৃষির গতিপ্রকৃতি পাল্টে দেওয়ার নানামুখী স্বপ্ন দেখেন। তিনি মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাত থেকে ভ‚মির মালিকানা বের করে এনে ভ‚মিহীন ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে তা বিতরণের উদ্যোগ নেন।

স্বাধীনতাপূর্বকালে পূর্ব পাকিস্তানের কৃষকদের নিয়ে শাসকগোষ্ঠীর তেমন নজর ছিল না বললেই চলে। কৃষির প্রতি তখনকার শাসকদের উদাসীনতা বঙ্গবন্ধুকে ভীষণভাবে পীড়িত করেছে। সেই অনুধাবন থেকেই তিনি স্বাধীনতার পর ভ‚মির বণ্টন ব্যবস্থায় হাত দিয়েছিলেন। এর ধারাবাহিকতা, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে পরিবার প্রতি জমির মালিকানা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘায় নামিয়ে আনেন। আর ভ‚মিসংস্কারের অংশ হিসেবে ১০০ বিঘার বেশি ভ‚মির মালিক বা পরিবারের কাছ থেকে শত বিঘার অতিরিক্ত জমি রাষ্ট্রের হাতে ন্যস্ত করে তা দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে বিতরণের নীতি গ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, দরিদ্র কৃষকরা যাতে খাজনা পরিশোধের চাপে পিষ্ট না হন, সেজন্য বঙ্গবন্ধু ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে পাকিস্তান আমলে কৃষকদের যত ভূমি-খাজনা বকেয়া ছিল, স্বাধীনতার পর তার পুরোটাই মওকুফ করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ২২ লাখ পরিবারকেই পুনর্বাসন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

যুদ্ধের সময় দেশে খাদ্য উৎপাদন হয়নি, তাই অনাহারে ৫০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ধারণা করেছিল; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সরকারের দূরদর্শিতায় সে রকম ঘটনা ঘটেনি। সে সময় কলের লাঙল ছিল না বললেই চলে, হালের বলদই ছিল চাষাবাদের প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু যুদ্ধের সময় অধিকাংশ কৃষক ঘরছাড়া হতে বাধ্য হয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালের বলদ আর পাওয়া যায়নি। ফলে কৃষক জমি চাষ করতে পারছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে এক লাখ হালের বলদ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৫০ হাজার গাভীও বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে সে সময়েই উদ্যোগ নেওয়া হয় বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনের।

স্বাধীনতার পর প্রথম অর্থবছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে যে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তার ১০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল কৃষিতে। আর প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কৃষি ও গবেষণা খাতে ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটা ওই সময়ের জন্য অনেক বড় বরাদ্দ নিঃসন্দেহে। বাজেটে ভর্তুকি দিয়ে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও আনুষঙ্গিক উপকরণ, কৃষি যন্ত্রপাতি, সেচ সুবিধা সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। ফলে কৃষি উৎপাদন অতীতের যে কোন সময় থেকে অনেক বেশি উৎপাদিত হয়েছিল। গরিব কৃষকদের বাঁচানোর স্বার্থে সুবিধাজনক নিম্নমূল্যের রেশন সুবিধা তাদের আয়ত্তে নিয়ে আসেন। বাজারে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ধান, পাট, তামাক ও আখসহ প্রধান প্রধান কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ৮ মাসে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প পূর্ণোদ্যমে চালুর ব্যবস্থা করেন। তার সরকার সরকারিভাবে খাদ্য মজুতের জন্য ১৯৭২ সালের মধ্যে ১শ’ গোডাউন নির্মাণ করে। দেশে প্রবর্তন করা হয় কৃষিঋণ ব্যবস্থার এবং ৭৩ এর ৭ নম্বর অ্যাক্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয় কৃষি ব্যাংক।

১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-১৩৫ এ বঙ্গবন্ধুর কৃষি সংস্কারের দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, আর তা হলো : এতে নদী কিংবা সাগরগর্ভে জেগে ওঠা চর জমির মালিকানা রাষ্ট্রের হাতে নিয়ে দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থার বিধান। মহাজন ও ভ‚মিদস্যুদের হাত থেকে গরিব কৃষকদের রক্ষাই উদ্দেশ্য ছিল তার। সে কারণে হাটবাজারে ইজারা প্রথার বিলোপ করেন। এক্ষেত্রে তিনি কৃষিজপণ্যের খুদে বিক্রেতাদের শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে বিদ্যমান সমবায় সমিতি ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালে সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দ্বিস্তর বিশিষ্ট সমবায় ব্যবস্থা চালু করেন।

কৃষির উন্নয়নে কৃষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উৎসাহ প্রদানে জাতীয় পর্যায়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকের’ প্রবর্তন করা হয়। টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণাসহ কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, ইক্ষু গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং পুনর্গঠন করেন। কৃষিতে নতুন নতুন জাত উপহার দেওয়া বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বা বিনা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই যাত্রা করে। কৃষির আধুনিকায়নে গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর অধিক জোর দিতেন বঙ্গবন্ধু। একজন কৃষিবিদ হিসেবে আমি মনেকরি, বঙ্গবন্ধু অসম্ভব রকম দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এক নেতা ছিলেন বলে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন- কৃষক ও কৃষির উন্নয়ন ছাড়া এ দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে একের পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তার সব কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গোটা বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধু আধুনিক ও উন্নত কৃষির প্রয়াসে কৃষি শিক্ষায় মেধাবীদের চাকরিতে আকৃষ্ট করে উন্নত কৃষি ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে, কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান করেন। তাঁর এই যুগান্তকারী পদক্ষেপে দেশের মেধাবী সন্তানগণ আগ্রহী হয় কৃষি পেশায়। আজ কৃষিতে আমাদের যে অনন্য সাফল্য, তা বঙ্গবন্ধুরই চিন্তার ধারাবাহিকতা। তাঁর চিন্তাকে তারই কন্যা শেখ হাসিনা সুনিপুণভাবে বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছেন। এ কারণে আজ আমরা খাদ্যে যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূূর্ণ। করোনা পরিস্থিতির প্রাদুর্ভাবকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সংঘটিত বৈশ্বিক মহাবিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশ এই সংকটকাল অতিক্রম করছে। করোনা ভাইরাসের এই সংকট অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের মতো কৃষি খাতেও বিস্তার লাভ করেছে। তবুও আজ কোথাও খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আবাদি জমি ফেলে না রেখে প্রতি ইঞ্চি পতিত জমিতে ফসল ফলানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনের আর্মির গৌরবগাথা অবদানের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চরম সংকট সময়ে ব্রিটেনে নারীরা খাদ্যনিরাপত্তায় এক কালজয়ী অবদান রেখেছিল।

কৃষিজমি কমতে থাকা, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টা বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন চতুর্থ অবস্থানে। সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। কেবল সবজি আর ধানেই নয়; মাছ, ছাগল উৎপাদনেও বিশ্বে আয়তনের দিক থেকে অনেক পেছনে থাকা বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ, আমে সপ্তম, আলুতে অষ্টম এবং ফলে দশম। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে, বিশ্বে যে পরিমাণ ইলিশ উৎপাদন হয়, তার ৮৬ শতাংশই হয় আমাদের দেশে। মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ বাংলাদেশ। আর ছাগলের মাংস উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম। আম উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অবস্থানে। আর আলু উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০ দেশের কাতারে এসেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে আলু, সবজি আর আম রফতানি হচ্ছে বিদেশে। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের জন্য উদাহরণ। আরো খুশির খবর, চাল উৎপাদনে আজ বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থান অধিকার করতে যাচ্ছে।

বন্যা, লবণাক্ততা, খরা ও দুর্যোগসহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান। সবকিছু মিলিয়ে কৃষিবান্ধব শেখ হাসিনা সরকারের আন্তরিকতা ও কার্যকর পদক্ষেপ, পরিশ্রমী কৃষক আর মেধাবী কৃষিবিদদের যৌথ প্রয়াসেই বাংলাদেশ এখন কৃষিতে বিশ্ব উদাহরণ। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষির অগ্রগতিতে আমরা আরো অনেক দূর এগিয়ে যাব আশা রাখি।

কৃষিবিদ মো. বশিরুল ইসলাম | লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

১৪ আগস্ট ২০২০ | Link: Manabkantho

আরও পড়ুন