ক্রীড়া পরিবার

সম্পাদনা/লেখক: Zakir Hossain

খেলাধুলা রক্তেই মিশে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের। তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ফুটবল খেলতেন অসাধারণ। দায়িত্ব পালন করেছেন স্থানীয় অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারির। বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামালের খ্যাতি আছে ক্রীড়াঙ্গনে। শেখ কামাল নাম লেখান ওয়ান্ডারার্সে। তবে ফুটবল নয়, বাস্কেটবলে। ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে ওয়ান্ডারার্সকে লিগ শিরোপা জেতাতে ভূমিকা ছিল কামালের। ক্রিকেটে তাঁর খ্যাতি ভালো ফাস্ট বোলার হিসেবে। ১৯৭৫ সালে ঢাকা ক্রিকেট লিগে আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়েও খেলতেন নিয়মিত। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল এবং বাস্কেটবলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে অবদান রাখেন শেখ কামাল। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম সফল ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতাও শেখ কামাল। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর বিদেশি কোচ এনে দল গঠন করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ কামাল। বঙ্গবন্ধুর আরেক ছেলে শেখ জামালও খেলেছেন ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ও অ্যাথলেটিকস। ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে খেলতেন তিনি। ১৯৭২ সালে আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠায় বড় ভাই শেখ কামালের সঙ্গে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের একমাত্র নারী ক্রীড়াবিদ ছিলেন শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল। তিনি বাংলাদেশের সেরা অ্যাথলেটদের একজন। তিনিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা ব্লু। ১৯৭০ সালে অল পাকিস্তান উইমেন্স অ্যাথলেটিকসের সেরা নারী অ্যাথলেট হন তিনি। ১৯৭৩ সালে ১০০ মিটার হার্ডলসে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন সুলতানা কামাল। ১৯৭৫ সালে মৃত্যুর কিছুদিন আগেও ১০০ মিটার হার্ডলসে জিতেছিলেন সোনার পদক। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্রীড়াপ্রেমী। বঙ্গবন্ধুর মতোই বিদেশে থাকা খেলোয়াড়দের ফোনে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি উৎসাহিত করেন নানাভাবে।

একই পরিবারে বাবা-ছেলে-নাতির খেলোয়াড় হওয়াটা নতুন কিছু নয়। তবে কোনো দেশের জাতির জনকের পরিবারের এতজনের ক্রীড়াঙ্গনে জড়িত থাকার নজির নেই আর। ক্রীড়াঙ্গনের বাতিঘর এই পরিবার।

News: Kalerkantho | ১৭ মার্চ, ২০২০

আরও পড়ুন