১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। সেদিন ছোট যে শিশুটি পৃথিবীর আলো-বাতাসের মুখ দেখেছিল কালে কালে তিনিই হয়ে উঠলেন এক মহিরুহ। তার জীবনের এই অমর গল্পগাঁথা এ পর্যন্ত কতজন যে কতভাবে লিখেছেন তার হিসাব মেলানো ভার। মুজিবগাথা বাঙালির এক চিরন্তন অমিয়ধারা। তাতে অবগাহন করে বর্তমান প্রজন্মের মানুষ যেমন সুখ লাভ করে আগামীর অনাগত প্রজন্মও লাভ করবে এক অনাবিল তৃপ্তি। শেখ মুজিব নামটাই আজ একটা অনন্য শব্দগুচ্ছ। এর সারা শরীরজুড়ে শুধু মহিমা আর মাহাত্ম্যের ছোঁয়া। এর গভীরতা যেমন মাপা কঠিন এর উচ্চতাও তেমনি নির্ণয় করা কঠিন। যদি প্রশ্ন করা হয় শেখ মুজিব কে? সবাই শুধু একটি কথাই বলবে, একজন অবিসংবাদিত মানুষ। বাংলাদেশ কখনও তার তুলনা খুঁজে পায়নি। বিশ্ব তাকে জানে এক মহান অমরাত্মা হিসেবে। তাকে নিয়ে লিখতে গেলে তাই কলমে আসে গতি, মস্তিষ্কের ভেতরে ছোটে শব্দের অনুরণন, হৃদয়ে জমে ওঠে আবেগ আর আত্মায় আসে প্রশান্তি।
শেখ মুজিব বাংলার মানুষের গর্বের ধন। নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ আজও তার নামের ভেতর এক অদ্ভুত আশ্রয় খুঁজে পায়। এই দেশ, এই মাটির শরীরে আজও যার শৈশব, কৈশোর, যৌবন আর প্রৌঢ়ত্বের গন্ধমাখা তাকে খুঁজে নিতে কিংবা বুঝে নিতে কারও তেমন কষ্ট হয় না। এ যেন একটি পরিচ্ছন্ন ছাপার বই। তাকে বোঝা তাই সহজ। সহজ এই জন্য যে জীবন তার জলের মতোই তরল। কেন তরল? কারণ সেখানে কোনো লোভ-লালসা, স্বার্থপরতা, সংকীর্ণতা, ব্যক্তিচিন্তা ছিল না। যা ছিল তা শুধু বাংলার মাটি আর মানুষের ভাবনা। শেখ মুজিব তাই একটি খোলা কাগজের মতো, আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই তাকে পড়তে পারে। আর যেহেতু কোনো লোভ-লালসা তার ছিল না তাই অন্যায় কোনো ভাবনা বা কর্ম তাকে কখনো পীড়িত করেনি। তার কণ্ঠ তাই ছিল দরাজ। তিনি উঁচু স্বরে কথা বলতেন। যা বলতেন তা স্পষ্ট ছিল। কারণ কখনো কোনো কূটচালের আশ্রয় তাকে নিতে হয়নি। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করেছেন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পক্ষে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রত্ব হারানো তাই তার পক্ষেই সম্ভব। জীবনে অনেক কিছুই হারিয়েছেন তিনি। তার বিনিময়ে যা পেয়েছেন তার কোনো তুলনা হয় না। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তার চেয়ে ভালো অভিভাবক কেউ কখনো হতে পারেনি। আগামীতে তো হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তিনি যে বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতির জনক। তিনি অন্য এক হিমালয়। পোয়েট অব পলিটিক্স। বাংলাদেশ নামক জাতি রাষ্ট্র তারই নিজ হাতে গড়া।
১৯৪০ সাল থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিতে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফেরার সময়কাল পর্যন্ত তার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবন, দেশে ফেরার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সপরিবারে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত বা রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার সময়কাল- একটু ভেবে দেখলে আমরা আমাদের স্বজাতির অস্তিত্বকেই খুঁজে পাই তার ভেতরে। একটা কথা খুব বলতে ইচ্ছা করে। জীবনের বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন উপলক্ষে তিনি যে ভাষণগুলো দিয়েছেন তা কি কখনো আমরা মন দিয়ে শুনেছি। যদি শুনেই থাকি আমার তো মনে হয় আমাদের আর কোনো রাজনীতির বাইবেল পড়ার প্রয়োজন হয় না। মুজিবের মাহাত্ম্য তো এখানেই। তিনি তার চলার পথে প্রতিটি পদে পদে আমাদের জন্য রাজনীতির ছক রেখে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা কি কখনো তা ঘুণাক্ষরেও লক্ষ্য করেছি। না। যদি করতাম তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আজও এখানে দাঁড়িয়ে থাকতাম না। আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তরই ছিল তার জীবনজুড়ে। কিন্তু আমাদের কাছে আজও তা অন্ধের হস্তীদর্শনের মতোই রয়ে গেল। হায়রে হতভাগা জাতি। সারা পৃথিবী ঘুরে আসি। খুঁজে ফিরি এ জাতির মুক্তির তাবিজ। কিন্তু সেই তাবিজ যে টুঙ্গিপাড়ার কোমল মাটিতে শুয়ে আছে তা বলে দেওয়ার মতো কেউ নেই। আজ তাই মধুসূধনের ভাষায় খুব বলতে ইচ্ছে করে,
‘কত রূপ স্নেহ করি বিদেশের কুকুর ধরি
স্বদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।’
আমার মাথায় আসেনা যে জাতির একজন মুজিব আছে তাদেরই কেউ কেউ কীভাবে দেশ আর স্বাধীনতার প্রশ্নে দ্বিধান্বিত থাকে কি করে? ধর্মের নামে আজও যারা ধুয়া তোলে তাদের উদ্দেশ্য যে কতটা অসৎ তা এখন আর কারও বুঝতে বাকি নেই। যাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, মানব প্রেম নেই, সততা নেই, ধর্মের লেবাসধারী ওইসব মানুষের মানুষ আর মানবতার যে কত বড় শত্রম্ন যুগে যুগে পৃথিবীর ইতিহাস তার সাক্ষী। একজন সত্যিকারের ধর্মভীরু মানুষ, তা সে যে ধর্মেরই হোক, কখনো মানুষ আর মানবতার বিপক্ষে যাবে না। শেখ মুজিবের কণ্ঠে তাই এই কথাটি বারবার অনুরণিত হতে দেখা যায়। তার জীবনে অজস্র বার তিনি দৃঢ় কণ্ঠে উচ্চারণ করেছেন- ও ধস ধ মড়ড়ফ গঁংষরস. এই হলো আমাদের বঙ্গবন্ধু। এই হলো আমাদের মহানায়ক। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাঙালির জাতির জনক। শেখ মুজিবুর রহমান।
\হকিছু কিছু লোক আছে যারা বছরের মাত্র দুদিন শেখ মুজিবকে খুঁজে পায়। তাহলো তার জন্মদিন ১৭ মার্চ। তার মৃতু্যদিন ১৫ আগস্ট। কারও কাছে তিনি একটি কালো কোট ছাড়া আর কিছুই নন। সাহেদের মতো ভন্ডদেরও তাই এই কোট গায়ে বাংলার মাটিতে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। ভাবতে লজ্জা লাগে। এ জাতির বোধোদয় হবে কবে? কবে এরা বুঝবে মুজিব কোনো ভাঙিয়ে খাওয়ার উপলক্ষ নয়। মুজিব কারও স্বার্থ হাসিলের উপকরণ নয়। মুজিব কারও আখের গোছানোর উপাদান নয়। মুজিব একটি চেতনা। মুজিব নামের ভেতরেই রয়েছে বাঙালির মুক্তির চাবি। তাকে খুঁজে নিতে হবে। মুজিব নামে যে অমৃত সুধা তা পান করে শুদ্ধ হতে হবে। মুজিবীয় আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে মাঠে, ঘাটে, গ্রামে, গঞ্জে, শহরে, বন্দরে। গড়ে তুলতে হবে সোনার বাংলা। তবেই মুক্তি। তবে মুজিবের এই বলিদান সার্থক।
\হ১৯২৭ সালে সাত বছরের বঙ্গবন্ধুকে টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। এটি ছিল একটি ইংলিশ স্কুল। আর এটিই বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রথম স্কুল।
১৯৩৭ সালের ১৭ বছরের শেখ মুজিব বন্ধ হওয়া সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান মুসলিম সেবা সমিতির’ সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। এটি তার জীবনের প্রথম পদ।
১৯৩৮ সালে সহপাঠী আব্দুল মালেককে হিন্দু মহাসভার সভাপতি সুরেণ ব্যানার্জির বাড়িতে ধরে নিয়ে যাওয়া হলে বঙ্গবন্ধু তার মামা শেখ সিরাজুল হক ও শেখ জাফর সাদেক ও অন্যান্য লোকজনকে নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে মারামারি লেগে যায়। মামাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সে যাত্রা তিনি সাত দিন হাজতে ছিলেন। এটাই ছিল তার প্রথম হাজত বাস।
সম্ভবত ১৯৩৯ সালে সোহরাওয়ার্দীর ছত্রছায়ায় গোপালগঞ্জ মুসলিম ছাত্রলীগ এবং মুসলিম লীগ গঠনই তার জীবনে প্রথম সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ঘটনা। বঙ্গবন্ধু উভয় সংগঠনেরই সম্পাদক হয়েছিলেন।
সম্ভবত ১৯৪৩ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাই তার জীবনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাষণ।
১৯৫২ সালের চীন সফরই বঙ্গবন্ধুর জীবনে প্রথম বিদেশ সফর। সেখানে তিনি এশিয়া এবং প্যাসিফিক রিম পিস কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জের প্রার্থী হিসেবে ১০ হাজারের বেশি ভোটে জয়লাভ করে নিজের জীবনের প্রথম নির্বাচন জিতলেন তিনি।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় সমবায় ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ার মধ্যদিয়ে জীবনের প্রথম মন্ত্রিত্ব গ্রহণের অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তিনি ছিলেন মন্ত্রিসভার সবচেয়ে কমবয়সি সদস্য।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ব্যাপক ও বিস্তৃত। এই জীবনের সামান্য একটু ছিটেফোঁটা উলেস্নখ না করলেই নয়। আর এই প্রসঙ্গে সামান্য আলোচনা করতে গিয়ে আমাকে দ্বারস্থ হতেই হলো অধ্যাপক মু. আমিনুল হক রচিত ‘বঙ্গবন্ধু মুজিব, বিশ্ববন্ধু মুজিব’ প্রবন্ধটির। প্রবন্ধটিতে তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে তার যে সমৃদ্ধ রাজনৈতিক জীবনের শুরু তা কীভাবে শেষ পর্যন্ত তাকে ১৯৭১-এ এনে দাঁড় করিয়ে ছিল তার চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। পাঠকদের রসাস্বাদনের জন্য আমি প্রবন্ধটির একটি ছোট অংশ হুবহু তুলে দিলাম:
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাকে কম হয়রানির শিকার হতে হয়নি। ৫৫ বছরের জীবনে ২০ বারের অধিকসংখ্যক বারে তিনি একযুগেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন কারাগারের অন্তরালে। অন্যের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা এতটা সহজ নয়। ১৯৬৬ সালে তার ছয় দফা উত্থাপন, অতপর গ্রেপ্তার, তাকে ফাঁসানোর জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ইত্যাদি লোমহর্ষক ঘটনাগুলোরও অত্যন্ত সুন্দর বর্ণনা এসেছে অধ্যাপক মু. আমিনুল হক রচিত ‘বঙ্গবন্ধু মুজিব, বিশ্ববন্ধু মুজিব’ প্রবন্ধটিতে। আমি আবারও তাই তা উপস্থাপনের লোভ সংবরণ করতে পারলাম না:
‘১৯৫৪ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগের তথা পূর্ব পাকিস্তানে ভরাডুবি হওয়ার পর আবার তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। নির্বাচন বাতিল করে দেয় সরকার। অর্থাৎ পাঞ্জাবিরাই দেশ শাসন করবে। অন্য জাতিরা প্রজা হয়েই থাকবে। পাকিস্তানিদের সাম্প্রদায়িকতার ফলে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন শেখ মুজিব ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। এই দাবি তিনি লাহোরে এক জনসভায় ঘোষণা করেন। ৭ জুন এই দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল, তাই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা হতে থাকে।
অবশেষে আসে সেই ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। দীর্ঘদিন মামলা চলতে থাকে। তারা মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করে চেয়েছিল আন্দোলন থামাতে। কিন্তু এতে বাংলার জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলন আরও তীব্রতর করে। এক সময় ১৯৬৯ সালের আন্দোলনে এই মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় আইয়ুব শাহি। প্রধান আসামি শেখ মুজিবসহ সব বন্দিকে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রম্নয়ারি তৎকালীন রেস কোর্সের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়। সেদিন থেকে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ নামে বাংলার মানুষের কাছে নতুন করে পরিচিত হন।’ অন্নদাশংকর রায় তাই বুঝি লিখেছেন,
‘যতকাল রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরী যমুনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’
হাসান মতিউর রহমান তার গানের কথায় অত্যন্ত আফসোস করে লিখেছেন, ‘যদি রাত পোহালেই শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই; তবে বিশ্ব পেতো এক মহান নেতা আমরা পেতাম জাতির পিতা।’ এমনি কত আফসোস, কত কষ্ট তার মহাপ্রয়াণের মহান শোককে আরও ভারী করে তোলে, দুঃখ ভারাক্রান্ত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস-মাটি, বেদনার্ত করে কোটি কোটি বাঙালির আর্দ্র হৃদয়কে তার হিসাব মেলানো ভার। মনের অজান্তে মুখ থেকে তাই বেরিয়ে আসে, হায়! যদি তুমি আজ বেঁচে থাকতে বাঙালি আজ হয়তো বিশ্ব শাসন করত। কিন্তু আফসোস, ১৯০ বছরের ইংরেজ শাসনের জন্মদাতা মীর জাফরদের বাড়ি শুধু মুর্শিদাবাদেই নয়, এই বাংলার মাটিতেও অনেক মীর জাফরের জন্ম হয়েছিল। তারা যে ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদেরই হত্যা করেছে তাই নয়, বাংলাদেশকে হাজার বছরের জন্য পিছিয়ে দিয়ে গেছে। আজ আর তাই কেউ ঘুম ভেঙে উঠে দরাজ গলায় ডাক দিয়ে বলে না, ‘তোরা কে কোথায়, ছুটে আয়, সোনার বাংলা গড়তে হবে, সময় বয়ে যায়।’
বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাওয়া কি এতটা সহজ? অথচ কতিপয় নির্বোধ লোক তার শরীরকে হত্যা করে তারপর ইতিহাস বিকৃত করে তাকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাঙালির প্রতিটি লগ্নে যেখানেই চেতনার জয়গান ওঠে সেখানেই আমরা খুঁজে পাই শেখ মুজিবের দীর্ঘ দেহ, সুদীর্ঘ গ্রীবা, উন্নত মস্তক আর এমন একটি কণ্ঠ যার কোনো তুলনা হয় না। তার বিদেহি আত্মার শান্তি হোক। শোকের এই দিনে এটাই সবচেয়ে বড় চাওয়া।
ওমর খালেদ রুমি : কলাম লেখক