বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দিন এবারও নিউ ইয়র্কে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’

সম্পাদনা/লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন

বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন শুরুর আগে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমো চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। গত ১৪ জানুয়ারি গভর্নরের স্বাক্ষরকৃত ঘোষণাপত্রের অনুলিপি ২০ জানুয়ারি প্রকাশ করেছেন নিউ ইয়র্ক স্টেট সেক্রেটারি আলেন্ড্রো এন পলিনো। নিউ ইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহার তদ্বিরে গত বছরও একই প্রস্তাব পাস হয়েছিল নিউ ইয়র্ক রাজ্য পার্লামেন্টে। তা নবায়নের জন্য গত ৯ জানুয়ারি সিনেটে উপস্থাপন করা হয়েছিল। বিশ্বজিৎ সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘোষণাপত্রটি বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তরের জন্য আমি ঢাকায় যাচ্ছি।”

জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। এই বছরটি মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ বছরব্যাপী কর্মসূচি শুরু হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে যে বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, তার তিন বছর পর দেশটি জাতিসংঘের সদস্যপদ পায় দেশটি। ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে দুবার চীনের ভিটোর কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ পায়নি। চীন নমনীয় হলে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য দেশের মর্যাদা পায়। এর আট দিন পর ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু। তাকে ‘বাঙালি জাতির মহান নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন অধিবেশনে তখন সভাপতিত্বকারী আলজেরিয়ার মুক্তি সংগ্রামের নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আজিজ বুতেফ্লিকা।

মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে জাতিসংঘে বাংলায় প্রথম বক্তৃতা দিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম 21 Jan 2020 লিঙ্ক

আরও পড়ুন