১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলার ব্রিটিশদের কাছে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার সূর্য অস্তমিত হয়। তার পর থেকে ভারতবর্ষে বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হয়েছে। এতে সব সময়ই বাংলার মানুষের ভূমিকা এবং আত্মত্যাগ উল্লেখযোগ্য ছিল। বাংলাকে ক্ষতবিক্ষত করার নানা পদক্ষেপ ছিল। ১৯০৫ সালে ভারতের তৎকালীন ভাইসরয লর্ড কার্জনের আদেশে ১ম বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয়। কিন্তু ১৯১১ সালে প্রচন্ড গণআন্দোলনের ফলে বঙ্গভঙ্গ রহিত হয়।
১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের উদ্যোগে বাঙালি হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি রক্ষার্থে বেঙ্গল প্যাক্ট গৃহীত হয়। কিন্তু ১৯২৬ সালেই কংগ্রেসে তা বাতিল হয়। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাধারণ অধিবেশনে ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবি উত্থাপিত হয় এবং অনুমোদিত হয়, যা ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব হিসেবে পরিচিত।
১৯৪৭ সালের ২৩ মে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অগ্রজ শরৎ চন্দ্র বসু বাংলা, বাংলাভাষী বিহার উড়িষ্যা সমম্বয়ে গ্রেটার বেঙ্গলের প্রস্তাব করেন। গান্ধীজি, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমসহ অনেকেই এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। কিন্তু কংগ্রেসের উচ্চ পর্যায়ের কিছু নেতার জন্য তা ভেস্তে যায়।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির মধ্য দিয়ে সত্যিকার বঙ্গভঙ্গ হয় ধর্মভিত্তিক ভারত এবং পাকিস্তান দুটো আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
এভাবে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য আলাদা ভূ-অঞ্চল এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা ভেস্তে গেছে।
এমনই এক পরিস্থিতিতে তৎকালীন ফরিদপুর জেলাধীন গোপালগঞ্জ মহুকুমার মধুমতি নদী তীরবর্তী নিভৃত পল্লীর ছায়া ঢাকা টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৮টায় জনক-জননীর ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন সবার প্রিয় ‘খোকা’। কেউ কি তখন ভেবেছিল এই খোকাই একদিন একটি দেশের জাতির পিতা হবে, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা দেবে, অধিকার দেবে? শেখ মুজিবুর রহমানের যখন জন্ম তখন পরাধীন ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলন বেশ দানা বেঁধে উঠেছে। সমগ্র ব্রিটিশশাসিত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির ছিল অগ্রণী ভূমিকা। প্রসঙ্গত ভারতীয় উপমহাদেশে বাঙালি জাতির বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে গোখলের বিখ্যাত উক্তি “What Bengal thinks today, India thinks tomorrow” স্মরণ করা যেতে পারে। বাংলার এই সংক্ষুব্ধ রাজনৈতিক পরিবেশেই জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
শেখ মুজিবের স্বকীয় নেতৃত্বের আভাস তার কিশোর বয়সের কয়েকটি ঘটনা থেকে আঁচ করা যায়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তান শাসকশ্রেণির বৈষম্যনীতি, শোষণ ও অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামের কথাই বারবার ঘুরেফিরে আসে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য।
বঙ্গবন্ধুর ভাবনা জুড়ে ছিল হাজার বছরের বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত অভূতপূর্ব অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি ও ব্যাপকতা ভারতে গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে কোনো দিক দিয়েই তুলনীয় নয়। স্থান ও কালের ব্যবধান ছাড়াও শেখ মুজিবের অসহযোগ আন্দোলন একটি সমান্তরাল বেসামরিক সরকার পরিচালনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল, যা মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের ব্যাপ্তি ও প্রভাব থেকে প্রকৃতিগতভাবেই আলাদা।
বাংলাদেশের মানুষ, সংগঠন, রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবের ডাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাড়া দিয়েছে ও অংশগ্রহণ করেছে। একদিকে সামরিক বাহিনী শত শত লোককে গুলি করে হতাহত করেছে, অপরদিকে বাংলাদেশের মৃত্যুঞ্জয় জনতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে শান্তিপূর্ণভাবে অসম সাহসে গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে আন্দোলন করেছে কারফিউ ভেঙেছে জনগণ, তাদের কানে বেজেছিল বঙ্গবন্ধুর অমোঘ নির্দেশ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এই অসহযোগ আন্দোলনকে সঙ্গতভাবেই বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায় হিসেবে অভিহিত করা যায়। তিন সপ্তাহব্যাপী একটি সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধু তার নেতৃত্ব ও সাহসের এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, যার উদাহরণ ইতিহাসে নেই। তার পরই শুরু হয়েছিল সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধ বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে ও দিকনির্দেশনায়। অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু একজন প্রকৃত জাতীয়তাবাদী নেতায় রূপান্তরিত হন। বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং তার অব্যবহিত আগে উপমহাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিশেষভাবে মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এবং তার রাজনৈতিক জীবনের পথপ্রদর্শক, সহযোদ্ধা, জাতীয় নেতাদের প্রভাব বঙ্গবন্ধুর জীবনে ছিল। শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ বহু নেতা ও কর্মীর মধ্য থেকে দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা, নিষ্ঠা, লক্ষ্যের প্রতি অবিচল ও একাগ্রতা, সর্বোচ্চ ত্যাগ ও সাহসের কারণে শেখ মুজিবুর রহমানের অভ্যুদয় ঘটে।
বঙ্গবন্ধুই বিশ্বের একমাত্র নেতা যিনি একটি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও রাজনীতি বিশ্লেষণ করলে তার যে অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলো প্রাধান্য পায় তা হলো সর্বোচ্চ ত্যাগ, প্রশ্নাতীত সততা, দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা, সাহস, মানবতাবাদী এবং লক্ষ্যে অবিচল। বঙ্গবন্ধু বারবার বলেছেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।
আমরা অহরহ বলি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর কথা শুধু মুখে মুখে বললে হবে না, তার যে সোনালি আদর্শগুলো রয়েছে তা অনুসরণ করতে হবে তা হলেই সোনার মানুষ হওয়া যাবে এবং কেবল তখনই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করে বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল। ২১টি বছর বাংলাদেশ চলেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, পাকিস্তানি রাজনীতির ভাবধারায়। রাজনীতি হয়েছে কলুষিত, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, হাজার বছরের কৃষ্টি, ঐতিহ্য সংস্কৃতির ধারা থেকে বঞ্চিত।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বুকের ভেতর কষ্টের পাথর বেঁধে পা রেখেছিলেন তারই স্নেহময়ী প্রাণপ্রিয় পিতা-মাতা, ভাই-ভ্রাতৃবধূসহ নিকট-আত্মীয়ের রক্তে ভেজা বাংলার মাটিতে, নিজের স্বামী, দুটো শিশু সন্তান সংসারের অবশিষ্ট সুখটুকু পেছনে ফেলে বাবার মতোই কোনো পিছুটান না রেখে কেবল বাবার অবশিষ্ট কাজটুকু সম্পন্ন করতে। পঁচাত্তরের খুনিরা তখনো তৎপর সব জায়গায় ওতপেতে আছে। এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধুকন্যা পিতার পথ ধরে জীবনের সব ঝুঁকি নিয়ে শুরু করলেন বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রাম। সেদিন যদি তিনি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না করতেন তা হলে এতদিনে দেশ পুরোপুরি পাকিস্তানের মতো স্বৈরাচারী, বিশৃঙ্খল, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হতো। শেখ হাসিনা সে অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন এবং বাংলার মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে অভিষিক্ত করেছেন।
‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ ’৮১ থেকে ৯০ পর্যন্ত দীর্ঘ আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা এবং প্রধান শক্তি ছিল তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলো। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নৈরাজ্য, অনাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আজকে বাংলাদেশে বারবার সঙ্কটাপন্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আবহে, হাজার বছরের বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতির অবগাহনে ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশের প্রাণ। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বিস্ময়। বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। গত ২০১৮ সালে স্যাটেলাইট-১ এর উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আকাশ বিজয় করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আকাশ-সমুদ্র সীমান্ত বিজয় পূর্ণ হলো। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন প্রায় ২০০০ ডলার। অর্থনৈতিক অনেক সূচকে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে। প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের ওপর। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ধাপে ধাপে পূরণ হয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বা রূপকল্প-২০২১ এর সব কর্মসূচি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে জাজ¦ল্যমান পরিবর্তন। দারিদ্র্য হ্রাস, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এসব কারণেই বাংলাদেশ বিশে^র দরবারে বিশেষ অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় দৃশ্যমান হচ্ছে আমূল পরিবর্তন। সময় এখন বাংলাদেশের। সময় এখন শেখ হাসিনার, সময় এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তির। শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারার জন্য অর্জন করছেন অসংখ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে হয়েছেন মাদার অব হিউম্যানিটি। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি দমন কর্মসূচিকে আরও বেগবান করা এখন সময়ের দাবি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা, সৎ, যোগ্য, কর্মঠ, মানবতাবাদী গণতান্ত্রিক নেতা। গণতন্ত্রের মানসকন্যা এখন গণতন্ত্রের মূর্তপ্রতীক। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, স্বাধীনতা-পরবর্র্তী সংকট নিরসন করে গেছেন, দেশের সব ক্ষেত্রে শক্ত ভিত করে গেছেন যার ওপরই হচ্ছে সব উন্নয়ন। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পুনরায় গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ে তুলেছেন, বাস্তবায়ন করে চলেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অর্থনৈতিক মুক্তির পথ ধরে সার্থক করে তুলছেন স্বাধীনতা।
নারী সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যুক্তরাজ্যের মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীলংকার চন্দ্রিকা কুমারতুঙ্গার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। সম্প্রতি উইকিলিকসের এক জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া (ইউএনআই) এ তথ্য জানিয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে তার বাস্তবায়ন করছেন। সম্প্রতি ছাত্রলীগের প্রধান নেতৃদ্বয়কে পরিবর্তন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের সব ক্ষেত্রে নির্মোহভাবে এ দৃষ্টান্তের প্রতিফলন ঘটবে এটিই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক দাবি করি তাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে বিশ^ রাজনীতির তা-বের সময় শক্তভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে হবে তবেই চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছবে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি।
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের সময়, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ লিংক